Jodi tare nai chini kobita Srijato যদি তারে না-ই চিনি – শ্রীজাত
সকালবেলা রিক্সা চেপে লেপ পৌঁছে দিয়ে আসছি
প্রিয় কবির বাড়ি
সন্ধে থেকে গান-কবিতা-পান-জর্দা-ভদকা-রাম-তাড়ি
তিনদিনের মহাপৃথিবী।
ছােট আলাপ। দু’খানা বই দিতে পেরেছি প্রথম সাক্ষাতে
আমায় তুমি চেনাে না ভালাে। এই আমিই কলকাতায়
সাপের ছাল বিক্রি করি রাতে।
এই আমিই বিটনুনের গন্ধ থেকে নেশা বানাই
বারুদ ঘষে তৈরি করি আবির
বােকার মতাে উঁচুতে ছুঁড়ে লুফে নেবার চেষ্টা করি চাবি
এই আমার বুক পকেটে সবাই বসে দিন গুনছে
কবে আমার কবে আমার হা হা
নেট দিইনি স্লেট দিইনি ভেট দিইনি কাউকে, তাই
নাচগানের আড়াল থেকে আস্তে করে ডুবে যাচ্ছে হিমশৈলে ধাক্কা খাওয়া জাহাজ…আমি
মরণকূপে ঝপাব! দেখি, সরাে —
দোতলা বাড়ি মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়াই সারাশহর
দু’কাঁধে দুই হাওয়া বাতাস
পায়ের নীচে আকাশ জড়ভরত
গায়ের রং কালােসবুজ। লম্বা চেরা জিভ নাড়ালে
কবিতা নয়, হিসহিসানি বেরােয়।
বাইরে থেকে খুব লাজুক, চোয়ালে বিষ জমছে আমাদেরও…
রক্তমাখা দরখাস্ত দলা পাকিয়ে ঘুরে মরছে চপার দিয়ে কাটা হাতের চেটো—
কলকাতায় কখনও যদি, যদি কখনও দেখা হয়
তুমি আমায় চিনতে পারবে তাে?