Ronjini Ke Lekha Amar Chithi রঞ্জিনীকে লেখা আমার চিঠি – শ্রীজাত
রঞ্জু সােনা,
তােমার ই-মেল পড়ি না আর। এই অসীমে
হপ্তাপিছু দশ টাকা যায় ট্যাঁক থেকে
ইংলিশ বাদ। বাংলা চালু। শহরে সব রাস্তা চালু
গড়াই, আবার ফিরেও আসি এক ঠেকে
আকাশ ভরা সূর্য তারা, হাওয়ার তখন কী আস্কারা
বুঝিনি, তাও এগিয়ে গেছি চোখ বুজে
ঠেকতে ঠেকতে এখন জানি, দুধ কা দুধ-পানি কা পানি
জীবনে সব স্টেপ নিতে হয় লােক বুঝে।
যে কোন চুলােয় ঘাপটি মেরে কার কফিনে ঠুকছে পেরেক
কে কার ঘাড়ে নল রেখেছে বন্দুকের….
তবু তাে প্রেম সর্বনাশী, পুজোর চাঁদা তুলতে আসি
সাহস পেতে সঙ্গে রাখি বন্ধুকে।
অসীম কালের যে-হিল্লোলে তােমার বাবা দরজা খােলে
দেখেই আমার প্রাণ উবে যায়, রঞ্জিনী
বিকেল করে ঘুরতে বেরােই, স্টিমার চেপে গঙ্গা পেরােই
আমি..তুমি..দাশকেবিন আর মঞ্জিনিস
বেকার ছেলে প্রেম করে আর পদ্য লেখে হাজার হাজার
এমন প্রবাদ হেব্বি প্রাচীন অরণ্যে
কিন্তু তার আড়ালের খবর? জবরদখল? দখলজবর?
হাজারবার মরার আগে মরণ নেই।
কান পেতেছি চোখ মেলেছি যা দেখেছি চমকে গেছি
থমকে গেছি পাড়ার মােড়ে রাতদুপুর
ঝাপটাতে ঝাপটাতে ডানা পাখি পায় দৈনিক চারানা
কাপড় কিনলে হয় না মুখের ভাতটুকু
প্রাতঃকৃত্য করছি বসে, এই সময় কে জমিয়ে কবে
লাথ ঝেড়েছে কাজলকালাে পশ্চাতে
একেই দু-দিন হয় না, শক্ত, তার ওপরে চোটে র রক্ত-