পার্শ্ববর্তিনী সহপাঠিনীকে – হুমায়ুন কবীর
কী আর এমন ক্ষতি যদি আমি চোখে চোখ রাখি
পদাবলী পড়ে থাক সাতশে জুলাই বহুদূর
এখন দুপুর দ্যাখাে দোতলায় পড়ে আছে একা
চলাে না সেখানে যাই। করিডােরে আজ খুব হাওয়া
বুড়াে বটে দু’টো দশে উড়ে এলাে ক’টা পাতিকাক।
স্নান কি করােনি আজ ? চুল তাই মৃদু এলােমেলাে ?
খেয়েছ তাে ? ক্লাস ছিলাে সকাল নটায়
কিছুই লাগে না ভালাে ; পাজামা প্রচুর ধুলাে ভরা
জামাটায় ভাজ নেই পাঁচদিন আজ
তুমি কি একটু এসে মৃদু হেসে তাকাবে সহজে
বললানি তাে কাল রাতে চাঁদ ছিল দোতলার টবে
নিরিবিলি কটা ফুলে তুমি ছিলে একা
সেদিন সকালে আমি, গায়ে ছিলাে ভাঁজভাঙা জামা
দাড়িয়ে ছিলাম পথে,হাতে ছিলাে নতুন কবিতা
হেঁটে গেলে দ্রুত পায়ে তাকালে না তুমি
কাজ ছিলাে নাকি খুব ? –বুঝি তাই হবে।
ওদিকে তাকাও দ্যাখাে কলরব নেই করিডােরে।
সেমিনার ফাকা হলাে হেড স্যার হেঁটে গেল ওই।
-না-যেও না তুমি, চোখে আর তাকাবাে না আমি
বসে থাকি শুধু এই—এইটুকু দূরে বই নিয়ে
এ টেবিলে আমি আর ও টেবিলে তুমি নতমুখী।