Somosto kothar bhar kobita সমস্ত কথার ভার – তিলোত্তমা মজুমদার
আমার সমস্ত জুড়ে রাতদিন একমাত্র ঘুম
শুষে নিচ্ছে অনিদ্রার বিশ্বাসঘাতক অন্ধকার
শুষে নিল যন্ত্রণার বস্তু বিষাক্ত শরীরে
আশ্চর্য বালিশে দুটি ঠোঁট তার ঘষে ঘষে!
এই সকল উত্থান কখন সম্ভব হল,-
ওই দুই দাহ্য করে কখন জড়ালো অ্যাত!
মায়ার বিস্ময় রেশ কবে থেকে মত্ত হল
শরীরের প্রত্যেক কণায়-
প্রথমে আমি তো কই টের পাইনি সরু সরু
ধমনীর খেলা
রণশব্দ ওই, তুলতে লেগেছে,
ভুলে থাকা আসক্তি বাড়িয়ে!
সেই একমাত্র মুখ আলাদা আলাদা করে ডানচোখ কামচোখ
হ্যাঁ, আমাকেই দেখে যাচ্ছে
চোখ জ্বেলে, বন্ধ করে চোখ।
সেই একমাত্র ঘুম আলাদা করেছে ঠোঁট জিহ্বা-আর
কী আকুল ইচ্ছা তার-
সেইসব রেখে গেল
আমার শিউরে ওঠা সুগোপন শক্ত প্রতিমায়।
আমি দেখলাম-ভিজে যাচ্ছি
বললাম-দেখো, দেখো, কেঁপে যাচ্ছি আশিরনখর
সে তখন দাঁত দিয়ে খুঁটে তুলে নিল
প্রস্তাবিত রোগজর্জরতা আর
সমস্ত পোষাক খুলে ডেকে গেল-
আয়রে পাগল, ও পাগল, আয়!
আমিও দিয়ে দিলাম আমার কামিজ
মেঘ হয়ে ওই সব বৃষ্টি দিচ্ছে
দিয়ে যাচ্ছে প্রার্থিত আড়াল-যার নীচে
আমারই, পরিপূর্ণ কাছাকাছি আসা
আরও আরও কাছাকাছি করলাম
টান টান সরলরেখায়।
পরস্পরের পিঠ কামড়ে চিবিয়ে ছাতু করে দিতে দিতে
উপলব্ধি করলাম-নিরাময় কাকে বলে
কাকে বলে মিথ্যে বয়ঃক্রম। সমস্ত কথার পর একসঙ্গে
বিজে যেতে যেতে আস্বাদ করছি পরস্পর ওষ্টপুট
নাভিকে নাভিতে ঘষে মুছে দিচ্ছি প্রোচনা
ক্ষয়ের মৃত্যুর