ম্যাডেলিন করিয়েট-এর জন্য তিনটে কবিতা – মলয় রায়চৌধুরী
১)
ম্যাডেলিন করিয়েট-এর জন্য প্রেমের কবিতা
খামে-ভরা তোমার স্মৃতিটুকু ভাসানের জগঝম্প ভিড়ে
জুহুর সমুদ্রের ঢেউয়ে শেষ চুমু খেয়ে
বিসর্জন দিয়েলুম ম্যাডি, ম্যাডেলিন করিয়েট
তিরিশ বছরের বেশি অফিসের কলিগেরা
খামের ভেতরের স্মৃতি দেখে যা-যা বলেছি ওনাদের
বিশ্বাস করেছে নির্দ্বিধায়, হা-হা, হা-হা, ম্যাডেলিন-
বাঘিনীর লোম মনে করে হাতে নিয়ে গালে চেপে
মাথার ওপরে ভবিষ্যত উন্নত করবে বলে ঠেকিয়েছে
ভেবে দ্যাখো ম্যাডেলিন, কত্তোজনের সমাদর পেলো
গোলাপি তুলোট যোনি থেকে সংগ্রহ করা
সোনালি ঘুঙুরালি বালগুলো, জয় হোক জয় হোক
তোমার অক্লান্ত প্রেমের, নেশালগ্নে নিশাসঙ্গমের
সিংহের বাঘের টিকটিকি কুমিরের দৈব-আঙ্গিকে
২)
নারীর বুকের মাঝে ঘুমের ওষুধ
ম্যাডেলিন বলেছিল
প্রেমিকের শরীরের
সবকিছু মুখস্হ হয়ে গেলে
অন্য প্রেমিকের প্রয়োজন হয়
তারপর বুড়ো হলে জীবনের সব মিথ্যা
সত্য হয়ে উঁকি মারে বলিরেখা জুড়ে
প্রতিটি যুগের নিজস্ব মিথ্যা হয়
সমস্ত জীবনভর যতো ছায়া মাটিতে ফেলেছ
তাদের একত্র করে শেষ প্রেমিকার বুকে মাথা গুঁজো
শেষতম নারী
দু’বুকের মাঝখানে ইনসমনিয়া সারাবার
ব্যবস্হা করবেই
সেখানে ঘুমের জন্মান্ধ উত্তমপুরুষ
কবিতার অদৃশ্য খাতা খুলে
কয়েক শতক বসে আছে
৩)
যতোদিন আছি ততোদিন ভালোবেসে যাবো
আরও কতো কথা বলেছিল ম্যাডি, ম্যাডেলিন
এই যেমন, “সঙ্গম ও শিশুর জন্ম দেয়া ছাড়া
যোনির কোনো ধর্ম নেই ; প্রেমিক ও সন্তানের
মুখে গোঁজা ছাড়া মাইয়ের কোনো ধর্ম নেই
ইন ফ্যাক্ট, দুইটি দেহের মাঝখানে ধর্মের ভূমিকা থাকে না-
দুইটি দেহের মাঝে অনর্থক ভিসা-পাসপোর্ট শুরু করে
মন্দির মসজিদ চার্চ সিনাগগ দুর্বোধ্য ভাষায় লেখা
ধর্মগ্রন্হ এনে পুরুষেরা প্রেমকে ধ্বংস করেছে
ধর্মকে প্রেমের মাঝে সীমারক্ষক করে
নারীকে চুবিয়েছে হীনম্মন্যতার রসায়নে
গুহাবাসীদের জান্তব সমাজে ফেরার পথ আমাদের নেই
তাই যতোদিন বেনারসে আছি ভালোবাসাবাসি করে যাই”