Birpurusher khoka kobita Apurba Dutta বীর পুরুষের খোকা – অপূর্ব দত্ত
খোকা বলল সেই ছড়াটা শোনাও না মা আবার
সেই যেটা খুব প্রিয় ছিল তোমার এবং বাবার।
মা বলল, তুই তো দেখি জ্ঞানের বটবৃক্ষরে,
কার লেখা, কী নাম ছড়াটার বলতো আগে ঠিক করে।
ঐ যে গো মা, যে ছেলেটা রাঙা ঘোড়ায় চড়ে
মা কে নিয়ে ঘুরতবিদেশ দিকে দিগন্তরে।
সন্ধেবেলা সুয্যি ঠাকুর যেই বসল পাটে
হঠাৎই সে পৌঁছে যেত জোড়া দিঘির মাঠে।
মাগো তুমি বলতে পারো জায়গাটা ঠিক কোথায়
সত্যি কি মা ভয় চলে যায় মরা নদীর সোঁতায় ?
আচ্ছা ধরো তুমি যাচ্ছ পালকি চেপে একা
পথঘাট সব মনিষ্যি হীন, পাখিরও নেই দেখা;
গাছের মাথায় ঘনান্ধকার, দেখা যায়না ভালো,
ভাবো হঠাৎ দিঘির পাড়ে দেখতে পেলে আলো।
আর তখুনি শুনতে পেলে হারে-রে-রে-রে-রে।
ধরো তুমি সিঁটিয়ে ভয়ে পালকিরই এক কোণে
চুপটি বসে আমার কথা ভাবছ মনে মনে!
আমি তখন সেই ছড়াটার বীরপুরুষের মতো
তলোয়ারের ঘায়ে ডাকাত মারছি অবিরত
আমার রণ মূর্তি দেখে তোমার সে কী কষ্ট
রক্ত লেগে স্কুল ড্রেসটাও এক্কেবারে নষ্ট।
ব্যাপারটা কী রোমাঞ্চকর ভাবা যায় না মোটে।
ভাগ্যে যদি এমন সুযোগ একবারটি জোটে
সবাইকে মা দেখিয়ে দেব একশো বছর পরেও
‘রবিঠাকুর’ ‘বীর পুরুষ’ ঠিক আছে তোমার ঘরেও।
ঐ যা! দেখো, বলে ফেললাম কোন ছড়া কার লেখা
দোষ কিছু নেই! সবই তো মা, তোমার কাছেই শেখা।