Rong bodoler byapar syaper রঙ-বদলের ব্যাপার-স্যাপার কবিতা
দিল্লী থেকে বিল্লী এলেন দুধের মতন সাদা
কলকাতার এক কালো-বেড়াল বললে তাকে, দাদা!
আসুন-বসুন, কেমন আছেন? বাড়ির খবর ভালো?
সাদা-বেড়াল বললে, তোমার রঙটা কেন কালো?
কালো-বেড়াল বললেঃ শুনুন, রাখুন আগে ‘বেডিং’
আমি যখন জন্মেছিলাম, চলছিল ‘লোডশেডিং’।
কুচবিহারের রাজার ছিল একটা কালো-হাতি
যখন-তখন সেই হাতিটাই করতো মাতামাতি।
একদিন তার কাণ্ড দেখেই চমকে গেল পিলে
পাঁচটা কাপড়-কাচা সাবান ফেললো হাতি গিলে!
পরদিন কি ঘটলো ব্যাপার, বলছি শোনো দাদা
সাবান খেয়েই কালো-হাতির বাচ্চা হলো সাদা।
রামুর সাথে দামুর সেদিন হঠাৎ হলো দেখা
বললে দামুঃ শোনরে রামু, চললি কোথায় একা?
ন’মাস বাদে দেখা হলো, কেমন আছিস? ভালো?
আগে তো বেশ ফর্সা ছিলি, এখন কেন কালো?
বললে রামু, কেমন ক’রে রঙ হল শোন্ ময়লা
আগে বেচতাম ময়দা আমি, এখন বেচি কয়লা!
সেদিন ভোরে বললে ভোঁদা, বল্ তো ভেবেই হাঁদা
রাত্রে-ফোটা ফুলগুলো সব হয় কিভাবে সাদা?
বললে হাঁদাঃ হায়রে গাধা, এ তো সবাই জানে
অবাক হয়েই তাকিয়ে কেন থাকিস আমার পানে?
রাত্রে-ফোটা ফুলগুলো না ঘুমিয়ে জেগে থেকে
হয় সাদা রোজ সারা দেহেই জ্যোৎস্না মেখে-মেখে।