সেদিন ছিলাম জলেভাসা খড়কুটো তুমি তাে আসতে বিকেলে নদীর ধারে ঢেউয়ের সঙ্গে লাফিয়ে পৌছতাম কচিৎ কখনাে তামার পায়ের কাছে আজ সারাদিন লােকের পিছনে লােক আজ সারাদিন সাহিত্যছাই ঘাঁটা সারাদিনই শুধু একের পিছনে এক মুখােশ চড়ানাে, মুখােশ নামিয়ে রাখা লােক চলে…
কে তাের পিতা ? রৌদ্রকিরণ মাতা আমার সমুদ্র হন বল দেখি তাের প্রেমিকটি কে ? তাকিয়ে দেখাে নিজের দিকে। এই এতকাল ছিলি কোথায় ? ঝার্নায় আর খরস্রোতায়। জলের থেকে শরীর ধরি সব উঠোনে ঝাঁপিয়ে পড়ি আজ এসেছি তােদের বাড়ি কোথায়…
ঐ, ঐযে কষ্ট আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে, মাঠের পাশে গাছ গাছের পাশে পুকুর, পুকুরের পরে গ্রাম পার হয়ে কষ্ট চলে যাচ্ছে পায়ে পায়ে আবছা শরীর আঃ বাঁচলাম ব’লে নিঃশ্বাস ফেলতে ফেলতে আমি দেখলাম ওর ওড়নাটা শুধু একটা গাছের ডালে কিন্তু…
ঠিক সময়ে অফিসে যায়? ঠিক মতো খায় সকালবেলা? টিফিনবাক্স সঙ্গে নেয় কি? না ক্যান্টিনেই টিফিন করে? জামা কাপড় কে কেচে দেয়? চা করে কে আগের মতো? দুগগার মা ক’টায় আসে? আমায় ভোরে উঠতে হত সেই শার্টটা পরে এখন? ক্যাটকেটে…
মেঘ বলতে আপত্তি কি ? বেশ, বলতে পরি ছাদের ওপোর মেঘ দাঁড়াতো ফুলপিসিমার বাড়ি গ্রীষ্ম ছুটি চলছে তখন তখন মানে ? কবে ? আমার যদি চোদ্দো, মেঘের ষোলো-সতেরো হবে ছাদের থেকে হাতছানি দিতো ক্যারাম খেলবি ? … আয় … সারা…
যেভাবে বৃষ্টির জল তোড়ে বয়ে যায় ঢালুদিকে সেইভাবে, আমার জীবন আজ অধোগামী। সালোয়ার একটু উঁচু ক’রে তুমি সেই জল ভেঙে ভেঙে রাস্তা পার হয়ে গেলে – এত যত্নে, সাবধানে, যেন বা জলের গায়ে আঘাত না লাগে! পড়ন্ত জীবন শুধু মনে…