Kabyer balika kobita কাব্যের বালিকা কবিতা আনিসুল হক
এক.
কতো স্বপ্ন দ্যাখো রোজ রাতে
কতো শব্দ কাটো ওই দাঁতে;
কতো জল ঝরে পড়ে নিয়ন আলোয়,
তার কয় ফোঁটা জমে তোমার ও দু’চোখের পাতে?
তোমাকে যে ভালোবাসে তুমি তার নামও জানো না;
কোন সে বাগান থেকে একটি নিভৃত ফুল
সুরভি পাঠিয়ে দেয় তোমার জানালাপথে—
সুরভিতা, তুমি তা জানো না।
কোথা থেকে আসে মায়া ছায়াঘন মেঘের মতন
কোথা থেকে আসে প্রেম,
জমে জমে গড়ে তোলে সুশোভন বুক—
জানো না জানো না।
কাব্যের বালিকা, আমি ক্ষমা করি তোমার অজ্ঞতা,
নারী তুমি, এটুকুই মেনে নেই যথেষ্ট যোগ্যতা।
দুই.
নীল ফুল প্রস্ফুটিত কোন্ টবে কোন সে বাগানে
বালিকা কি জানে?
প্রীত আলো নাকি জল বক্ষ-বারান্দায়
নীলাভ দু’চক্ষু তার নীরবে ফোটায়?
মেনেলাউসের বুকে জ্বলে ওঠা বিরহ-অনলে
পুড়ে যায় যুবকের বুকের প্রাচীর
তার তাপে ভস্মীভূত জনপদ ট্রয় নগরীর;
অমন উত্তপ্ত ক্ষণে প্রেয়সী হেলেন,
বালিকা কি জানে, তিনি কেমন ছিলেন?
গোলাপের মতো ফোটে লেলিহান শিখা
কতোটা সৌন্দর্য তার কতোটা দাহিকা?
কতোটুকু পোড়ে মোম কতোটা পোড়ায়
জানে কি বালিকা?
কতোটুকু অন্ধকার শ্যাম্পু-গন্ধী চুল তার আনে কার দরোজা-গোড়ায়
বালিকা জানে না, হায়, এতোটুকু না পুড়েই সে আমাকে কতোটা পোড়ায়!