Manush pare poem মানুষ পারে কবিতা – সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত
না, আর কখনও আমি ব্যবহার করব না তােমাকে
শিশুকে মধুর মিথ্যাও শেখানাে পাপ
তাই আমি আকাশ শেখাতে গিয়ে
আর কখনই পুনর্বিবেচনা করব না পুর্ণিমা।
পূর্ণিমা শব্দটি বড় মুগ্ধকর, কেননা সেখানে আজও এক
“মা” মিশে রয়েছে।
একদিন, সেই কবে বহুদিন
আগে, আমার মা প্রতি চান্দ্ৰ সন্ধ্যাবেলা সংসার থামিয়ে এসে
মল্লিকা, টগর, করবীর সমবেত সুগন্ধের
ভিতর আমাকে কোলে নিয়ে বাইরে দাঁড়াতেন; আমি
মাকে ভীষণ বিশ্বাস করে ভাবতাম
একদিন নিশ্চয়ই চাঁদ টিপ দিয়ে যাবে।
অথচ এখনও আমার কপাল খালি পড়ে আছে,
শুধু, খণ্ড-খণ্ড কলকাতার নীলিমায় তাকিয়ে ভাবছি আমার শিশুকে
আমি কোন নতুন খেলার সঙ্গী খুঁজে দেবাে শূন্যে!
শিশুকে মধুর মিথ্যাও শেখানাে পাপ
না হলে বলতাম দেবতা যা পারে না, মানুষ
তা পারে। আনন্দে পদানত জ্যোৎস্নাকে কাঁপিয়ে তীব্র
শেষ বলে উঠতে পারে, “কোথায়, কোথায়
তুমি হে দেবতাশ্রেষ্ঠ ঈশ্বর? আমরা
পাথর, গহ্বর, ধলাে ছাড়া
কেন আর কিছুই দেখতে পাচ্ছি না এখানে?”