Ramsukh Tewari kobita রামসুক তেওয়ারী কবিতা কুমুদরঞ্জন মল্লিক
এসেছিল এই দেশে রামসুক তেওয়ারি—
অধিবাসী হবে বুঝি ‘বুন্দী’ কী ‘রেওয়া’রি!
বুক ছিল কি দরাজ, কী গভীর পেটটি!
ভুট্টার ছাতু খেত, সের দুই লেট্টী।
আধসের চানা খেত চিবাইয়া দন্তে,
মিছরির শরবৎ কুস্তির অন্তে।
বাঙলায় কাটাইয়া গোটা দুই বর্ষা
রামসুক তেওয়ারির পরকাল ফর্সা।
প্রাতে আর সন্ধ্যায় চা ধরেছে নিত্য,
আজ বাড়ে অম্বল, কাল বাড়ে পিত্ত।
কবিরাজ লেগে আছে লেগে আছে ডাক্তার,
ভুঁড়ি তার কমে গেছে, —বেড়ে গেছে নাক্ তার।
খায় দাদখানি চাল, ডুমুরের ছেঁচকি,—
তবু উঠে উদগার, কভু উঠে হেঁচকি।
বড়া, বড়ি, ট্যাবলেট,—দর্পটি চূর্ণ ;
অনুপান, অবহেলে ঘর তার পূর্ণ।
ভাজিবার মুগদর—শৌর্যের উত্স,
দূরে প’ড়ে ; খোঁজে আজ মুদগুর মৎস্য।
ভবেনি সে হবে তার এত বড় ‘চেঞ্জ’ই,
পাঞ্জাবি হ’ল তার পুরাতন গেঞ্জি।
অবশেষে অসুখের সংবাদ পাইয়া,
দেশ থেকে ধেয়ে এল দেশোয়ালি ভাইয়া।
ক’রে দিল প্রথমেই চা খাওয়াটা বন্ধ—
বে-ভাষায় বললে সে কত কী যে মন্দ।
ভোরে ঘোরে খোলা মাঠে রামসুক সাথে সে,
তুলসীর রামায়ণ পাঠ করে রাতে সে।
চা ছাড়িয়া রামসুক উঠলো যে মুটিয়ে,
অর্হরের ডাল খায়, জোয়ারের রুটী হে।
চা খেলেই তাড়া করে,—করে নাক কেয়ার-ই,
খাসা আছে, সুখে আছে, রামসুক তেওয়ারী।