এইসব আঙুলের পাশাপাশি আর কোনো ঝাউ নেই আজ। আঙুল দেখেছি খুলে, খোলে না সে বহুদূর, আর ছোঁয় না চিবুক গোধূলিতে ভরে ওঠে বুক অথচ দিগন্ত থেকে আনে না সে রক্তিম প্রতিভা তোমার কপালে তুলে দিতে তোমার কপাল থেকে সরে যায়…
যা দেখি সব চমকপ্রদ, মুন্ডু আছে মাথায় চৌরাস্তায় চিৎ হয়েছি ছেঁড়া জরির কাঁথায় চক্ষুও নেই কর্ণও নেই হাত নেই নেই পা-ও একটাদুটো পয়সা পেলে কুড়িয়ে কুড়িয়ে খাও পিঠের নিচে ইটের খোঁচা বুকের ওপর ফলা আকাশ তবু পালিশ তবু নদী রজস্বলা…
বুকের প্রপাত ঝরে যায় এতগুলি ডিঙা তুমি কোথায় পেয়েছ ভুলে যাই বুকের প্রপাত ঝরে যায় জল, এত জল, শুধু চারিদিকে জল খেলা করে বুকের আকাশ সরে যায় এমন প্রপাত ঝরে যায় আর তুমি ডিঙা নিয়ে এই সব ডিঙা নিয়ে যাও…
আরাে একটু মাতাল করে দাও। নইলে এই বিশ্বসংসার সহজে ও যে সইতে পারবে না! এখনও যে ও যুবক আছে প্রভু! এবার তবে প্রৌঢ় করে দাও নইলে এই বিশ্বসংসার। সহজে ওকে বইতে পারবে না।
‘সে ছিল একদিন আমাদের যৌবনে কলকাতা! বেঁচে ছিলাম ব’লেই সবার কিনেছিলাম মাথা আর তাছাড়া ভাই আর তাছাড়া ভাই আমরা সবাই জেনেছিলাম হবে নতুন সমাজ, চোখের সামনে বিপ্লবে বিপ্লবে যাবে খোল-নলিচা যাবে খোল-নলিচা পালটে, বিচার করবে নিচু জনে’ -কিন্তু সেদিন খুব…
নিভন্ত এই চুল্লীতে মা একটু আগুন দে আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি বাঁচার আনন্দে। নোটন নোটন পায়রাগুলি খাঁচাতে বন্দী দু’এক মুঠো ভাত পেলে তা ওড়াতে মন দি’। হায় তোকে ভাত দিই কী করে যে ভাত দিই হায় হায় তোকে ভাত দেব…