শিশুর জীবন (কবিতা) – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ছোটো ছেলে হওয়ার সাহস আছে কি এক ফোঁটা, তাই তো এমন বুড়ো হয়েই মরি। তিলে তিলে জমাই কেবল জমাই এটা ওটা, পলে পলে বাক্স বোঝাই করি। কালকে-দিনের ভাবনা এসে আজ-দিনেরে মারলে ঠেসে কাল তুলি ফের পরদিনের বোঝা। সাধের জিনিস ঘরে…
ছোটো ছেলে হওয়ার সাহস আছে কি এক ফোঁটা, তাই তো এমন বুড়ো হয়েই মরি। তিলে তিলে জমাই কেবল জমাই এটা ওটা, পলে পলে বাক্স বোঝাই করি। কালকে-দিনের ভাবনা এসে আজ-দিনেরে মারলে ঠেসে কাল তুলি ফের পরদিনের বোঝা। সাধের জিনিস ঘরে…
ওই যে হোথায় নদীর বুকে ভাসছে গাঁদাফুল ওইখানেতেই ছিল আমাদের প্রাইমারি ইসকুল। আর ওই যে বাঁদিক-পানে ভাসছে ছেঁড়া-শাড়ি ওইখানটায় বলি শোনো হায়,ছিল আমাদের বাড়ি। বাড়ির পাশেই সবজি-বাগান, বিশাল খেলার মাঠ ডানদিকে ঠায় এগিয়ে গেলেই দোকান-বাজার-হাট! ওই যে দেখছ নৌকোখানা…
তোমরা যদি ফুলের মতো ফুটতে পারো নদীর মতো ছুটতে পারো চাঁদের মতো উঠতে পারো বাতাস হয়ে লুটতে পারো দল বেঁধে সব জুটতে পারো তবে এই পৃথিবী সত্যি মধুর হবে! তোমরা যদি পাখির মতো উড়তে পারো মেঘের মতো ঘুরতে…
সকাল বেলা ঘুম ভেঙেছে মা বললো শুনো, বাসি মুখে একশো থেকে এক অব্দি গুনো। নয়টা নাগাদ খেলতে যাব, বাবা ডাকলো বুবাই আবুধাবির রাজধানী কি মাস্কাট না দুবাই? স্কুলে গেছি ইংরেজি স্যার হেঁকে বললেন এ ইউ, কেলিডোস্কুপ লেখতে…
‘ক’ লিখতে কলম ভাঙিস, ‘খ’ লিখতে খড়ম চার বচ্ছর এক কেলাসে শুনলে মেজাজ গরম। সারা দুপুর করিসটা কী ? ঘুম নেই তোর চোখে ? এত বকি তবু কি তোর মাথায় কিছু ঢোকে ? এই শুনে রাখ, লাস্ট…
ঠিক মনে নেই, তখন বোধহয়, পাঁচ পেরিয়ে ছয়। চতুর্দিকে অচেনা সব গা ছমছম ভয় । মাঝেমধ্যে দাদার খাতা কলম নিয়ে খেলি, বাবা হেসে বলতো… আবার এইসব কোথায় পেলি? মনে আছে— সেবার সরস্বতী পুজোর দিনে, বাবা আনলো শহর থেকে স্লেট…