সমস্ত উৎসবসেষে অর্থহীনতার স্থির জল পড়ে থাকে মধ্যরাতে কালপূরুষের দিকে চেয়ে একটিদুটি পাপড়ি শুধু ক্ষতে জেগে থাকে অবিচল সেই স্তব্ধতাই আমি উপহার দিতে চাই তাকে। অভিনয়-মাখা ওই মুখগুলি এত অসহায় ঘুৃমিয়ে পড়েছে আর কেউ কারো কথা শুনছে না- শূন্য দিয়ে…
আমার সবচেয়ে ভয় হয় ওই পাগলদের জন্যে ওই রাস্তার পাগলদের জন্যে ওই চটপরাদের জন্যে ওই জটপড়া চুলদাড়ি কিংবা ন্যাড়ামাথাদের জন্যে আমার সবচেয়ে ভয় হয় ওরা প্রত্যেক মুহূর্তে কত কত দূরে চলে যাচ্ছে বাড়ি ছেড়ে দেশ ছেড়ে ওদের কি বাপ-মা নেই…
চোদ্দ ডিঙা ডুবে গিয়ে মেঘে মেঘে ভরা ক্রুদ্ধ গাঙে নিঃশ্বাস নেবার জন্য মাঝে মাঝে ভেসে উঠছে চাঁদ। যদি কাঠ ফেলে দাও – ধরবে না – আরাে বড় খাদ সে জানে প্রস্তুত আছে। যদি তাতে আছড়ে পড়ে ভাঙে তার সধবার শাঁখা,…
এইসব আঙুলের পাশাপাশি আর কোনো ঝাউ নেই আজ। আঙুল দেখেছি খুলে, খোলে না সে বহুদূর, আর ছোঁয় না চিবুক গোধূলিতে ভরে ওঠে বুক অথচ দিগন্ত থেকে আনে না সে রক্তিম প্রতিভা তোমার কপালে তুলে দিতে তোমার কপাল থেকে সরে যায়…
যা দেখি সব চমকপ্রদ, মুন্ডু আছে মাথায় চৌরাস্তায় চিৎ হয়েছি ছেঁড়া জরির কাঁথায় চক্ষুও নেই কর্ণও নেই হাত নেই নেই পা-ও একটাদুটো পয়সা পেলে কুড়িয়ে কুড়িয়ে খাও পিঠের নিচে ইটের খোঁচা বুকের ওপর ফলা আকাশ তবু পালিশ তবু নদী রজস্বলা…
শুকনো পাতায় পায়ের শব্দ শুনে হঠাৎ চমকে পিছনে তাকিয়ে দেখি বিকেল কেমন স’রে গেল দ্রুতপায়ে খাদের কিনারে ঝুঁকে প’ড়ে দেখি – ওই… নীচে বহু নীচে গড়িয়ে যাচ্ছে আলো ঝরা পাতারাও কুয়াশায় ভিজে গেছে সন্ধে নামছে দীর্ঘশ্বাসের মতো