১৩৩৩ (কবিতা) – জীবনানন্দ দাশ
তোমার শরীর — তাই নিয়ে এসেছিলে একবার — তারপর — মানুষের ভিড় রাত্রি আর দিন তোমারে নিয়েছে ডেকে কোন্ দিকে জানি নি তা — মানুষের ভিড় রাত্রি আর দিন তোমারে নিয়েছে ডেকে কোনদিকে জানি নি তা — হয়েছে মলিন…
তোমার শরীর — তাই নিয়ে এসেছিলে একবার — তারপর — মানুষের ভিড় রাত্রি আর দিন তোমারে নিয়েছে ডেকে কোন্ দিকে জানি নি তা — মানুষের ভিড় রাত্রি আর দিন তোমারে নিয়েছে ডেকে কোনদিকে জানি নি তা — হয়েছে মলিন…
তোমার ন্যায়ের দণ্ড প্রত্যেকের করে অর্পণ করেছ নিজে। প্রত্যেকের ’পরে দিয়েছ শাসনভার হে রাজাধিরাজ। সে গুরু সম্মান তব সে দুরূহ কাজ নমিয়া তোমারে যেন শিরোধার্য করি সবিনয়ে। তব কার্যে যেন নাহি ডরি কভু কারে। ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতা,…
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখ দ্বিতীয় বিদ্যায়। বরং বিক্ষত হও প্রশ্নের পাথরে। বরং বুদ্ধির নখে শান দাও, প্রতিবাদ করো। অন্তত আর যাই করো, সমস্ত কথায় অনায়াসে সম্মতি দিও না। কেননা, সমস্ত কথা যারা অনায়াসে মেনে নেয়, তারা আর কিছুই…
তোমার আনন্দগানে আমি দিব সুর যাহা জানি দু-একটি প্রীতি-সুমধুর অন্তরের ছন্দোগাথা; দুঃখের ক্রন্দনে বাজিবে আমার কণ্ঠ বিষাদবিধুর তোমার কণ্ঠের সনে; কুসুমে চন্দনে তোমারে পূজিব আমি; পরাব সিন্দূর তোমার সীমন্তে ভালে; বিচিত্র বন্ধনে তোমারে বাঁধিব আমি, প্রমোদসিন্ধুর তরঙ্গেতে দিব দোলা…
নৃপতি বিম্বিসার নমিয়া বুদ্ধে মাগিয়া লইলা পাদনখকণা তাঁর। স্থাপিয়া নিভৃত প্রাসাদকাননে তাহারি উপরে রচিলা যতনে অতি অপরূপ শিলাময় স্তূপ শিল্পশোভার সার। সন্ধ্যাবেলায় শুচিবাস পরি রাজবধূ রাজবালা আসিতেন ফুল সাজায়ে ডালায়, স্তূপপদমূলে সোনার থালায় আপনার হাতে দিতেন জ্বালায়ে কনকপ্রদীপমালা।…
ভূতের মতন চেহারা যেমন, নির্বোধ অতি ঘোর। যা-কিছু হারায়, গিন্নি বলেন, “কেষ্টা বেটাই চোর।’ উঠিতে বসিতে করি বাপান্ত, শুনেও শোনে না কানে। যত পায় বেত না পায় বেতন, তবু না চেতন…