তিনকড়ি তোল্পাড়িয়ে উঠল পাড়া – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তিনকড়ি। তোল্পাড়িয়ে উঠল পাড়া, তবু কর্তা দেন না সাড়া! জাগুন শিগ্গির জাগুন্। কর্তা। এলারামের ঘড়িটা যে চুপ রয়েছে, কই সে বাজে– তিনকড়ি। ঘড়ি পরে বাজবে, এখন ঘরে লাগল আগুন। কর্তা। অসময়ে জাগলে পরে ভীষণ আমার…
তিনকড়ি। তোল্পাড়িয়ে উঠল পাড়া, তবু কর্তা দেন না সাড়া! জাগুন শিগ্গির জাগুন্। কর্তা। এলারামের ঘড়িটা যে চুপ রয়েছে, কই সে বাজে– তিনকড়ি। ঘড়ি পরে বাজবে, এখন ঘরে লাগল আগুন। কর্তা। অসময়ে জাগলে পরে ভীষণ আমার…
আশ্বিনের মাঝামাঝি উঠিল বাজনা বাজি, পূজার সময় এল কাছে। মধু বিধু দুই ভাই ছুটাছুটি করে তাই, আনন্দে দু-হাত তুলি নাচে। পিতা বসি ছিল দ্বারে, …
একবার দেখে যাও ডাক্তারি কেরামৎ — কাটা ছেঁড়া ভাঙা চেরা চট্পট্ মেরামৎ ৷ কয়েছেন গুরু মোর, “শোন শোন বৎস, কাগজের রোগী কেটে আগে কর মক্স ৷” উৎসাহে কি না হয় ? কি না হয় চেষ্টায় ? অভ্যাসে চট্পট্ হাত…
গালভরা হাসিমুখে চালভাজা মুড়ি, ঝুরঝুরে প’ড়ো ঘরে থুর্থুরে বুড়ী ৷ কাঁথাভরা ঝুলকালি, মাথাভরা ধুলো, মিট্মিটে ঘোলা চোখ, পিট খানা কুলো ৷ কাঁটা দিয়ে আঁটা ঘর—আঠা দিয়ে সেঁটে, সূতো দিয়ে বেঁধে রাখে থুতু দিয়ে চেটে ৷ ভর দিতে ভয় হয়…
দেখ্ বাবাজি দেখ্বি নাকি দেখ্রে খেলা দেখ্ চালাকি, ভোজর বাজি ভেল্কি ফাঁকি পড়্ পড়্ পড়্বি পাখি–ধপ্ ! লাফ দি’রে তাই তালটি ঠুকে তাক ক’রে যাই তীর ধনুকে, ছাড়্ব সটান ঊর্ধ্বমুখে হুশ্ ক’রে তোর লাগবে বুকে–খপ্ ! গুড়্…
বিদ্ঘুটে জানোয়ার কিমাকার কিম্ভূত, সারাদিন ধ’রে তার শুনি শুধু খুঁতখুঁত ৷ মাঠপারে ঘাটপারে কেঁদে মরে খালি সে, ঘ্যান্ ঘ্যান্ আব্দারে ঘন ঘন নালিশে ৷ এটা চাই সেটা চাই কত তার বায়না— কি যে চায় তাও ছাই বোঝা কিছু যায়…