Barsho sesh kobita Shukumar Ray বর্ষ শেষ কবিতা সুকুমার রায়
শুন রে আজব কথা, শুন বলি ভাইরে— বছরের আয়ু দেখ বেশিদিন নাই রে। ফেলে দিয়ে পুরাতন জীর্ণ এ খোলসে নূতন বরষ আসে, কোথা হতে বল সে ! কবে যে দিয়েছে চাবি জগতের যন্ত্রে, সেই দমে আজও চলে না জানি…
শুন রে আজব কথা, শুন বলি ভাইরে— বছরের আয়ু দেখ বেশিদিন নাই রে। ফেলে দিয়ে পুরাতন জীর্ণ এ খোলসে নূতন বরষ আসে, কোথা হতে বল সে ! কবে যে দিয়েছে চাবি জগতের যন্ত্রে, সেই দমে আজও চলে না জানি…
খাই খাই করো কেন, এসো বসো আহারে— খাওয়াব আজব খাওয়া, ভোজ কয় যাহারে। যত কিছু খাওয়া লেখে বাঙালির ভাষাতে, জড় করে আনি সব— থাক সেই আশাতে। ডাল ভাত তরকারি ফল-মূল শস্য, আমিষ ও নিরামিষ, চর্ব্য ও চোষ্য, রুটি লুচি,…
মাকড়সা সান্-বাঁধা মোর আঙিনাতে জাল বুনেছি কালকে রাতে, ঝুল ঝেড়ে সব সাফ করেছি বাসা। আয় না মাছি আমার ঘরে, আরাম পাবি বসলে পরে, ফরাশ পাতা দেখবি কেমন খাসা! মাছি থাক্ থাক্ থাক্ আর বলে না, আন্কথাতে মন গলে…
চলে হনহন ছোটে পনপন ঘোরে বনবন কাজে ঠনঠন বায়ু শনশন শীতে কনকন কাশি খনখন ফোঁড়া টনটন মাছি ভনভন থালা ঝন ঝন।
গোপালটা কি হিংসুটে মা! খাবার দিলেম ভাগ করে,বল্লে নাকো মুখেও কিছু, ফেল্লে ছুঁড়ে রাগ করে।জ্যেঠাইমা যে মেঠাই দিলেন, ‘দুই ভায়েতে খাও বলে’−দশটি ছিল, একটি তাহার চাখতে দিলেম ফাও বলে,আর যে নটি, ভাগ করে তায় তিনটে দিলেম গোপালকে−তবুও কেবল হ্যাংলা ছেলে…