ঠাস্ ঠাস্ দ্রুম্ দ্রাম্, শুনে লাগে খট্কা ফুল ফোটে ? তাই বল ! আমি ভাবি পট্কা ! শাঁই শাঁই পন্পন্, ভয়ে কান বন্ধ— ওই বুঝি ছুটে যায় সে–ফুলের গন্ধ ? হুড়মুড় ধুপ্ধাপ্ – ওকি শুনি ভাই রে ! দেখ্ছ…
অই আমাদের পাগলা জগাই, নিত্য হেথায় আসে ; আপন মনে গুনগুনিয়ে মুচকি–হাসি হাসে । চলতে গিয়ে হঠাৎ যেন থমক লেগে থামে, তড়াক করে লাফ দিয়ে যায় ডাইনে থেকে বামে । ভীষণ রোখে হাত গুটিয়ে সামলে নিয়ে কোঁচা, ‘এইয়ো’ বলে…
হাঁড়ি নিয়ে দাড়িমুখো কে–যেন কে বৃদ্ধ রোদে বসে চেটে খায় ভিজে কাঠ সিদ্ধ । মাথা নেড়ে গান করে গুন্ গুন্ সঙ্গীত ভাব দেখে মনে হয় না–জানি কি পণ্ডিত ! বিড়্ বিড়্ কি যে বকে নাহি তার অর্থ— “আকাশেতে ঝুল…
গাছের গোড়ায় গর্ত করে ব্যাঙ বেঁধেছেন বাসা, মনের সুখে গাল ফুলিয়ে গান ধরেছেন খাসা। রাজার হাতি হাওদা পিঠে হেলেদুলে আসে— ‘বাপ রে!’ বলে ব্যাঙ বাবাজি গর্তে ঢোকেন ত্রাসে! রাজার হাতি, মেজাজ ভারি হাজার রকম চাল; হঠাৎ রেগে মটাং করে…
চুপ করে থাক্, তর্ক করার বদভ্যাসটি ভাল না, এক্কেবারেই হয় না ওতে বুদ্ধিশক্তির চালনা। দেখ্ ত দেখি আজও আমার মনের তেজটি নেভেনি— এইবার শোন বলছি এখন— কি বলছিলাম ভেবেনি! বলছিলাম কি, আমি একটা বই লিখেছি কবিতার, উচু রকম পদ্যে…
পড়তে বসে মুখের পরে কাগজ খানি থুয়ে রমেশ ভায়া ঘুমোয় পড়ে আরাম ক’রে শুয়ে। শুনছ নাকি ঘড়র্ ঘড়র্ নাক ডাকার ধুম? সখ যে বড় বেজায় দেখি— দিনের বেলায় ঘুম! বাতাস পোরা এই যে থলি দেখ্ছ আমার হাতে, দুড়ম…